বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং: সেরা সাইট, অ্যাপ ও টিপস ২০২৫
বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়, বিশেষ করে যারা বাসায় বসেই বাজি ধরতে চান। ক্রিকেট আমাদের জাতীয় আবেগ। মাঠে খেলা হোক বা মোবাইলে লাইভ স্ট্রিম, বাংলাদেশিরা সব সময় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত। এই খেলার উত্তেজনা এখন আরও বেশি হচ্ছে অনলাইন বেটিংয়ের মাধ্যমে। আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করব সেরা ক্রিকেট বেটিং সাইট, বিশ্বস্ত অ্যাপ, কিভাবে শুরু করবেন, আর কীভাবে ভালো বোনাস পাবেন। এছাড়াও থাকছে নতুনদের জন্য সহজ টিপস। আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট টি বেছে নিয়ে আজই বাজি ধরুন আপনার প্রিয় ক্রিকেট ম্যাচে!
বাংলাদেশের ক্রিকেট বেটিং এর জনপ্রিয়তা
বাংলাদেশে ক্রিকেট মানেই উন্মাদনা। এটি কেবল একটি খেলা নয়, এটি মানুষের আবেগ, গর্ব এবং প্রতিদিনের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সকালে চায়ের দোকানে ম্যাচ নিয়ে আলোচনা, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী, আর রাতে খেলা দেখা, সব মিলিয়ে ক্রিকেট এখন আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ।
এই আবেগের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং, যা দিনে দিনে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। টি-টোয়েন্টি লিগ যেমন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএল, পিএসএল এবং আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো এখন সহজেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ে দেখা যায়। অনেকেই বাজি ধরার মাধ্যমে খেলার উত্তেজনা আরও উপভোগ করছেন। বিভিন্ন ক্রিকেট বেটিং সাইট এই সুযোগকে আরও সহজ করে তুলেছে কারন মোবাইল অ্যাপেই মাত্র কয়েক ক্লিকে বাজি ধরা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ফলাফলও পাওয়া যায়।
তরুণ প্রজন্ম অনলাইন বেটিং বেছে নিচ্ছে কারণ এটি সহজ, দ্রুত এবং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। মোবাইল ইন্টারনেটের উন্নতি এবং স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিকাশ, নগদ, রকেট এর মতো স্থানীয় পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করা যায়, যা আগে ছিল না। এতে করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা আর নেই।
নতুন ক্রিকেট বেটিং সাইট গুলো এখন ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের বোনাস, ফ্রি বেট ও ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে। ফলে শহরের পাশাপাশি গ্রামের তরুণরাও এখন এই অনলাইন বেটিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। দিনে দিনে এটি একটি জনপ্রিয় অনলাইন বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেরা ক্রিকেট বেটিং সাইট ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে সব সাইটই নিরাপদ কিংবা বাংলাদেশি বেটরদের জন্য উপযোগী। অনেক সাইট বড় বড় বোনাসের কথা বললেও, বাস্তবে তা ঠিকভাবে দেয় না বা খেলায় অসাধুতা করে। তাই বেটিং শুরু করার আগে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও বিশ্বস্ত ক্রিকেট বেটিং সাইট নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
যেসব সাইট নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেগুলো সবসময় ব্যবহারকারীদের ন্যায্য অডস প্রদান করে এবং সময়মতো টাকা তোলার নিশ্চয়তা দেয়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলোতে থাকে বিকাশ, নগদ, এবং রকেট এর মতো স্থানীয় পেমেন্ট মেথডের সাপোর্ট। ফলে টাকা জমা দেওয়া কিংবা তোলার কাজ খুব সহজে, দ্রুত এবং নিরাপদে করা যায়।
বিশ্বস্ত সাইটগুলো সাধারণত বাংলা ভাষায় ইন্টারফেস সরবরাহ করে, থাকে ২৪/৭ লাইভ চ্যাট সাপোর্ট এবং পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে সব ধরনের বোনাস শর্ত। এই বিষয়গুলো যাচাই করার পরই আমাদের টিম কয়েক ডজন বেটিং সাইট পর্যালোচনা করে সেরা গুলোর তালিকা তৈরি করেছে। নিচে আমরা এমন ১০টি সেরা সাইটের তালিকা এবং একটি তুলনামূলক টেবিল দিচ্ছি, যা আপনাকে সঠিক বেটিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে সাহায্য করবেঃ
Bonus up to
২৩০%
Bonus up to
130%
Bonus up to
১২৫%
Bonus up to
১৩০%
Bonus up to
২৩০%
Bonus up to
১০০%
Bonus up to
৩০০%
Bonus up to
১৫০%
Bonus up to
১৫০%
Bonus up to
১৩০%
সেরা মোবাইল অ্যাপ ও বৈশিষ্ট্য
২০২৫ সালে বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই বাজি ধরেন সরাসরি মোবাইল ফোন থেকে। তাই একটি বেটিং সাইট নির্বাচন করার সময় সেই সাইটের মোবাইল অ্যাপ কেমন, সেটি এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকাল অনেকেই ডেস্কটপ ব্যবহার করেন না কারন সবকিছুই হয় স্মার্টফোনে। ফলে অ্যাপের স্পিড, ইউজার ইন্টারফেস এবং নেভিগেশন সহজ হওয়া অপরিহার্য। একটি ভালো অ্যাপ মানে হলো লগইন সহজ, ম্যাচ খুঁজে পাওয়া দ্রুত এবং লাইভ বেটিং করা যায় রিয়েল-টাইম আপডেটসহ, কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
একটি উন্নত মোবাইল অ্যাপে অবশ্যই থাকতে হবে দ্রুত টাকা জমা ও উত্তোলনের ব্যবস্থা, যেখানে বিকাশ ও নগদ-এর মতো স্থানীয় পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে ৩০ সেকেন্ড থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য বড় একটি সুবিধা।
আমাদের Bdbet টিম বিভিন্ন অ্যাপ বিশ্লেষণ করে ১০টি সেরা মোবাইল বেটিং অ্যাপ নির্বাচন করেছে। নিচে আমরা এই অ্যাপগুলোর একটি তুলনামূলক টেবিল দিচ্ছি যেখানে এদের রেটিং এবং মূল ফিচার গুলো দেখতে পাবেনঃ
অ্যাপের নাম | মূল ফিচার | রেটিং |
4rabet | বিশাল ওয়েলকাম বোনাস ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট ফ্রি লাইভ স্ট্রিমিং | ৫.০ |
Jeetbuzz | বড় অডস বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড আলাদা ধরণের বেটিং অপশন | ৪.৯ |
Mostbet | ক্যাশ আউট ফিচার ৪০টিরও বেশি খেলায় বেটের সুযোগ দ্রুত উইথড্রয়াল | ৪.৯ |
1win | বিশ্বস্ত বেটিং অ্যাপ ইনস্ট্যান্ট উইথড্রয়াল ই-স্পোর্টস বেটিং | ৪.৮ |
22bet | বড় বেটিং মার্কেট উচ্চ অডস ও লাইভ বেটিং একাধিক পেমেন্ট পদ্ধতি | ৪.৭ |
Crickex | সহজ Android ও iOS অ্যাপ বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন প্রচুর স্পোর্টস ইভেন্ট | ৪.৬ |
1xbet | ৪০টিরও বেশি খেলায় বেটের সুযোগ ক্যাশ আউট ফিচারএকাধিক পেমেন্ট পদ্ধতি | ৪.৬ |
Linebet | বিশাল ওয়েলকাম বোনাস ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট লাইভ ও প্রি-ম্যাচ বেটিং | ৪.৫ |
Krikya | প্রতিযোগিতামূলক অডস ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট BDT, INR ও USDT গ্রহণ করে | ৪.২ |
Parimatch | ক্যাশ আউট ফিচার ৪০টিরও বেশি খেলায় বেটের সুযোগ দ্রুত উইথড্রয়াল | ৪.০ |
লাইভ বেটিং ও ইন-প্লে বিকল্প
বর্তমানে বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং জগতে সবচেয়ে আলোচিত ও চাহিদাসম্পন্ন ফিচার হলো লাইভ বেটিং বা ইন-প্লে বিকল্প। এর মানে হচ্ছে, আপনি খেলা চলাকালীন মাঠের পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে বাজি ধরতে পারবেন।
ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে প্রতিটি ওভারে ঘটে বড় পরিবর্তন যেমন উইকেট পড়া, রান রেট বাড়া বা কমা, কিংবা ব্যাটারদের আগ্রাসী খেলা। তাই লাইভ বেটিং ব্যবহারকারীদের দেয় বাড়তি নিয়ন্ত্রণ এবং উৎসাহ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি বাজি ধরতে পারেন পরবর্তী উইকেট কখন পড়বে, এক ওভারে মোট কত রান হবে, কোনো দল নির্দিষ্ট রানের উপরে যেতে পারবে কি না, এমনকি কে ছক্কা মারবে, কে ক্যাচ দিবে এসবেও এখন বাজি ধরা যায় এই ধরণের রিয়েল-টাইম বেটিং অপশন বেটরদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়, কারণ এখানে আগেভাগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং ম্যাচ চলাকালীন খেলার গতি বুঝে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
তবে সব সাইটে এই সুবিধা থাকে না। কেবল উন্নত ক্রিকেট বেটিং সাইট গুলোতেই থাকে আধুনিক লাইভ ফিচার, যেখানে অ্যালগরিদম-ভিত্তিক অডস আপডেট হয় প্রতিনিয়ত। উদাহরণস্বরূপ, 1xBet এবং Parimatch এই দিক থেকে অনেক এগিয়ে। এসব সাইটে আপনি লাইভ স্কোর দেখতে পারবেন, দ্রুত বাজি ধরতে পারবেন এবং অডসের পরিবর্তন রিয়েল-টাইমে বুঝতে পারবেন।
উন্নত লাইভ বেটিং অপশন মানে হলো আরও বেশি উত্তেজনা, মজা এবং জেতার সুযোগ। বাংলাদেশের বেটররা এখন এই অভিজ্ঞতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ এটি খেলার সঙ্গে একটি গভীর সংযুক্তি তৈরি করে।
ক্রিকেট বেটিং করার টিপস ও কৌশল
অনেক বাংলাদেশি ব্যবহারকারী এখন বিভিন্ন ক্রিকেট বেটিং সাইটের মাধ্যমে আসল টাকায় বাজি ধরছেন। কিন্তু সফল হতে হলে কৌশল জানা খুব জরুরি। প্রথম ধাপে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাজেট ম্যানেজমেন্ট। বেটিং শুরু করার আগে আপনি কী পরিমাণ টাকা খরচ করবেন, তা নির্ধারণ করে নেওয়া উচিত। পুরো ব্যালেন্স একসাথে বাজি ধরবেন না। কখনো “হার ফেরত আনার” জন্য অন্ধভাবে বেট করবেন না। এতে ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
পরবর্তী ধাপে আসে লাইভ অডস পর্যবেক্ষণ করা। ক্রিকেট একটি গতিশীল খেলা। এক ওভারে ম্যাচের রূপ বদলে যায়। একটি বড় ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে বা বৃষ্টি নামলে অডস দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাই ক্রিকেট বেটিং সাইট এ লাইভ অডস বুঝে সঠিক সময়ে বেট ধরাই সবচেয়ে লাভজনক।
এছাড়া বিশ্লেষণমূলক মনোভাব থাকা দরকার। শুধু আবেগ বা আন্দাজের ওপর নির্ভর করলে ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ম্যাচের ফর্ম, পিচ রিপোর্ট, হেড টু হেড রেকর্ড এসব দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সবশেষে, কিছু সাধারণ ভুল আছে যা অনেক বেটররা করে থাকেন। নিচে আমরা ৫টি প্রধান ভুল তুলে ধরছি যেগুলো খেয়াল করে এড়িয়ে চলা উচিতঃ
- একই খেলায় বেশি বেট করাঃ একই ম্যাচের বিভিন্ন দিকে একাধিক বাজি ধরলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তাই ম্যাচের অবস্থা বুঝে বাজি ধরা উচিত।
- শুধুমাত্র বড় অডস দেখে বাজি ধরাঃ বেশি অডস দেখলেই ঝাপিয়ে পড়া উচিত নয়। বড় অডস গুলোতে বেশিরভাগ সময়ে জেতার সম্ভাবনা কম থাকে।
- বোনাস শর্ত না পড়ে ব্যবহার শুরু করাঃ প্রতিটি বোনাসের আলাদা কিছু শর্তাবলী থাকে। তাই বোনাস টি নেওয়ার আগে এর শর্তগুলো পড়ে দেখা উচিত যে আপনি পূরণ করতে পারবেন কি না।
- ইমোশন নিয়ে বেটিং করাঃ কোনো দলের উপর যাচাই করা ছাড়া বাজি ধরা উচিত না। আপনার প্রিয় দল বলেই অন্ধ ভাবে এর উপর বাজি ধরা উচিত না। তাই বাজি ধরার আগে দলের বর্তমান অবস্থা, খেলোয়ারদের লিস্ট এবং স্টার প্লেয়ারদের পার্ফরমেন্স যাচাই করে দেখা উচিত।
- অপরিচিত লিগ বা দলের ওপর বাজি ধরাঃ কোনো দল সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকলে সেই দলের উপর বাজি ধরা উচিত না। কারন তাদের খেলা কেমন হবে তা আগে থেকে বুঝার উপায় থাকে না।
এই টিপসগুলো মেনে চললে বেটিং অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ ও লাভজনক হবে।
জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ও লীগ
বাংলাদেশে বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং এর সময় বেশি বাজি ধরা হয় কিছু বড় টুর্নামেন্টে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ইত্যাদি। এই টুর্নামেন্টগুলোর খেলা সব সময় অনেক মজার হয়। এখানে খেলে নামী তারকা খেলোয়াড়রা, যাদের খেলা দেখে বাজি ধরা আরও মজার লাগে।

ক্রিকেট বেটিং সাইট গুলো এই সময়ে কিছু স্পেশাল অফার দেয় যেমন ফ্রি বেট, বোনাস কোড আর অডস বাড়িয়ে দেওয়া। এসব অফার দিয়ে ব্যবহারকারী বেশি টাকা জিততে পারেন। লাইভ বেটিং অপশন এই সময় অনেক বেশি ব্যবহার হয়। কারণ বল পরিবর্তন হলে খেলার অবস্থা বদলে যায়, আর অডসও সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এখানে জনপ্রিয় কিছু ক্রিকেট বেটিং অপশন দেখে নিনঃ
- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগঃ বিপিএল হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এটি বাংলাদেশিদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচে বেট করা যায়। বেশিরভাগ অ্যাপে বাংলা ভাষা ও টাকায় খেলা যায়।
- এশিয়া কাপঃ এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ অনেক দেশ খেলে। ম্যাচগুলো খুব উত্তেজনাপূর্ণ হয়। ভালো অ্যাপগুলোতে আগেই অডস দেখা যায়, লাইভ স্কোর পাওয়া যায়, এবং ভবিষ্যদ্বাণীও দেওয়া থাকে।
- টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচঃ এই ম্যাচগুলো খুব দ্রুত হয় এবং অনেক মজার। এখন সব দেশই টি-টোয়েন্টি খেলে। অ্যাপগুলোতে সব ধরনের বেট অপশন থাকে যেমন কে ছক্কা মারবে, কে আউট হবে, কত রান হবে ইত্যাদি।
- টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচঃ এই ম্যাচগুলো একটু লম্বা হয়। টেস্ট ম্যাচ ধীরে ধীরে চলে, তাই কৌশল করে বেট করা যায়। আর ওয়ানডে ম্যাচে একটু ব্যালান্স থাকে। অনেকেই এই ম্যাচগুলোতেও বেট করতে পছন্দ করে।
এই রকম বড় টুর্নামেন্ট চলার সময় ভালো অভিজ্ঞতার জন্য এমন সাইট বেছে নেওয়া দরকার যেখানে অনেক ধরনের বাজি ধরার অপশন থাকে যেমন কে জিতবে, কে টস জিতবে, কে বেশি রান করবে, পরের উইকেট কখন পড়বে এসব। এতে আপনি অনেক ধরনের বাজি ধরতে পারবেন, আর জেতার সুযোগও বেশি থাকবে।
নিরাপত্তা ও লাইসেন্সিং বিষয়ক সচেতনতা
অনেকে ভাবেন, বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং এর সাইটে লাইসেন্স থাকা শুধু নিয়মের জন্য। কিন্তু এটা আসলে নিরাপদভাবে বাজি ধরার জন্য খুব দরকার। লাইসেন্স থাকলে আপনার টাকা, তথ্য এবং খেলাও নিরাপদ থাকে।
ভালো ক্রিকেট বেটিং সাইটগুলো সাধারণত বড় রেগুলেটর থেকে লাইসেন্স পায় যেমন Curacao, MGA (Malta Gaming Authority) বা UKGC (UK Gambling Commission)। এই সংস্থাগুলো দেখে রাখে সাইট ঠিকভাবে চলছে কি না এবং সবাই ঠিকমতো সার্ভিস পাচ্ছে কি না।
ভালো সাইটে SSL এনক্রিপশন থাকে। এতে আপনার তথ্য হ্যাকারদের থেকে নিরাপদ থাকে। আর রেসপনসিবল গ্যাম্বলিং টুলও দরকার যেমন বাজির সময় কমানো, বাজির টাকা সীমিত করা বা কিছুদিন বন্ধ রাখা ইত্যাদি। এসব দিয়ে আপনি নিজের খেলা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশি বেটরদের জন্য এটা অনেক জরুরি। কারণ কিছু সাইট বেশি বোনাসের লোভ দেখিয়ে মানুষকে ঠকায়। সেখানে টাকা দিলে তুলতে সমস্যা হতে পারে।
তাই রেজিস্ট্রেশনের আগে ভালোভাবে দেখে নিন সাইটে লাইসেন্স আছে কি না, রিভিউ ভালো কি না, আর সিকিউরিটি আছে কি না। মনে রাখুন, ভালো সাইট মানেই নিরাপদ খেলা আর টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা।
নতুন ও নিয়মিত বেটরদের জন্য বোনাস
বাংলাদেশ অনলাইন ক্রিকেট বেটিং সাইটগুলোতে এখন বোনাস পাওয়া খুব সাধারণ। কিন্তু কোন বোনাস আপনার জন্য ভালো, তা বুঝা জরুরি। নতুন ও পুরনো ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা অফার থাকে, যা বেটিংকে আরও লাভজনক করে তোলে। এখানে জনপ্রিয় কিছু ক্রিকেট বেটিং এর বোনাস দেখানো হলোঃ
- ওয়েলকাম বোনাসঃ নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা উপহার হলো ওয়েলকাম বোনাস। যখন আপনি প্রথমবার কোনো ক্রিকেট বেটিং সাইটে সাইন আপ করেন এবং ডিপোজিট করেন, তখন সাইটটি আপনার জমাকৃত টাকার সাথে অতিরিক্ত টাকা বা ফ্রি বেট দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ১০০% পর্যন্ত বোনাস মানে আপনি যদি ৫,০০০ টাকা জমা দেন, তাহলে সাইট থেকে আর ৫,০০০ টাকা বোনাস হিসেবে পাবেন। তবে এই বোনাস তোলার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যা ওয়েজারিং রিকোয়ারমেন্ট নামে পরিচিত।
- রেফার ফ্রেন্ডঃ বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বোনাস পেতে পারেন। যখন আপনার দেওয়া রেফারেল লিঙ্ক বা কোড ব্যবহার করে কেউ সাইন আপ করে এবং ডিপোজিট করে, তখন আপনি একটি রেফার বোনাস পাবেন। এটি হতে পারে ফ্রি বেট বা টাকা, যা আপনার বেটিং ব্যালেন্সে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুদেরও খেলার সুযোগ দিতে পারেন এবং একই সাথে নিজেও লাভবান হতে পারেন।
- রিপিট ডিপোজিট বোনাসঃ নিয়মিত বেটরদের জন্য রয়েছে রিপিট ডিপোজিট বোনাস। এটি হল সেই বোনাস যা আপনি একাধিকবার টাকা জমা দিলে পেতে পারেন। যেমন, প্রতিবার যখন আপনি নতুন করে টাকা জমা দিবেন, তখন সাইট থেকে অতিরিক্ত কিছু টাকা বা ফ্রি বেট পাওয়ার সুযোগ থাকে। এটি বেটিং অভিজ্ঞতাকে আরও মজার ও লাভজনক করে তোলে।
- ভিআইপি বোনাসঃ বিশেষ ও নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে ভিআইপি বোনাস। এখানে আপনি খেলতে খেলতে পয়েন্ট জমাতে পারেন। এই পয়েন্ট দিয়ে আপনি এক্সক্লুসিভ অফার, ব্যক্তিগত সাপোর্ট এবং বড় ধরনের বোনাস পেতে পারেন। ভিআইপি সদস্যদের জন্য প্রায়শই বিশেষ টুর্নামেন্ট, ক্যাশব্যাক অফার এবং পার্সোনালাইজড গিফট থাকে।
- ক্যাশব্যাক বোনাসঃ যারা মাঝে মাঝে বাজি হারান তাদের জন্য ক্যাশব্যাক বোনাস খুবই লাভজনক। এই বোনাসে সাইট আপনার কিছু টাকা ফেরত দেয়, সাধারণত হারানো টাকার একটি অংশ। যেমন, আপনি যদি ১০,০০০ টাকা হারান, তাহলে ৫% বা ১০% টাকা ক্যাশব্যাক হিসেবে ফেরত পেতে পারেন। এটি বেটিং থেকে ক্ষতির ঝুঁকি কমায় এবং আরও খেলার উৎসাহ দেয়।